
ইউরোপা আকারে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের চেয়ে কিছুটা ছোট। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ইউরোপার ওই মহাসাগরটি ৬৫ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গভীর হতে পারে। এতে পানির পরিমাণ পৃথিবীর মহাসাগরগুলোর ধারণকৃত পানির দ্বিগুণ হতে পারে।
নতুন ওই গবেষণা নিবন্ধে বলা হয়, ইউরোপার ওই ভূগর্ভস্থ মহাসাগরের উৎপত্তির রহস্য উদ্ঘাটনের পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত যে সেখানে অতীতে অণুজীবের উপস্থিতি ছিল। বিশেষ করে ওই মহাসাগরে বিপুল পানির উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে। নিবন্ধে আরও বলা হয়, ইউরোপার কেন্দ্রে থাকা তেজস্ক্রিয় উপাদানের ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট তাপের কারণে একসময় সেখানকার পানিসমৃদ্ধ ভূগর্ভস্থ উপাদানগুলো পানি ছেড়ে দিয়েছিল। আর সেই পানি দিয়েই তৈরি হয়েছে ওই মহাসাগর। আর এই জলরাশিতে ঢেউ তৈরি হচ্ছে বৃহস্পতির সঙ্গে ইউরোপার মধ্যকার মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে। এতে অবশ্য বৃহস্পতির দুই বড় চাঁদ আইও ও গেনিমেডেরও প্রভাব রয়েছে।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক মোহিত মেলওয়ানি দেসওয়ানি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ইউরোপার ওই মহাসাগরটি আগে বাসযোগ্য ছিল। কারণ, আমাদের কাছে যে মডেল রয়েছে, সেটি অনুসারে মহাসাগরটি মৃদু অম্লীয়। এতে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও কিছু সালফারের লবণও আছে। তিনি আরও বলেন, তরল পানির উপস্থিতি বাসযোগ্যতা প্রমাণের প্রথম ধাপ।